মানুষ আর মানুষের মত দেখতে কিছু প্রাণী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ইতস্তত,
প্রাগৈতিহাসিক সময়ের শরীরে।
অদ্ভুত আচার আর আঁচড়ের মিশেল নিয়ে বেঁচে থাকে।
আদিদৈবিকতার আদিভৌতিকতার মাঝে সে প্রাণী জন্ম দেয় এমন এক ভাবনার-
যেটা একসময় তাকেই গিলে খায়।
রূপক ও আক্ষরিক- উভয় অর্থেই।
হাজার থেকে হাজারতর খণ্ডে ভেঙে গিয়ে
পৃথিবীটা কাঁটাতারের মরুভুমি।
সে মানুষ একে একে তৈরি করে কত সব শব্দগুচ্ছ।
জন্ম নেয় 'ধর্ম', আরও বহুযুগ পেরিয়ে 'দেশ' বলে আরেকটি শব্দ জন্ম নেয়,
সময়ের আবহে যেটা মিশে যায় আরও হাজার টা শব্দের সাথে,
শুধু 'ধর্ম' চিবিয়ে খায় তার নরম হাড়।
পৃথিবীর বয়স হয়েছে ,
আপন নিয়মে সময়ের আদরে সে হয়েছে বৃদ্ধ।
মানুষের মস্তিষ্ক সেভাবে কখনো উর্বর হয়নি,
তার কাছে ধর্মের আবাহন মননের গহন চিন্তন থেকে বেশী আকর্ষক,
ধর্মের একটা মাদকতা আছে,
সেটা সময়ের সাথে সাথে
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পরে,
মানুষের অলস দুর্বল মস্তিষ্ক কাজ ভুলে যায়।
চিন্তন একটা প্রক্রিয়া
এখন শুধু বাইরের প্ররোচনায় চলিত হয়।
মানুষ তাই মানুষেরই মত দেখতে একটা প্রাণীতে পরিণত।
সে প্রাণী একান্তই নির্বোধ -ততোধিক হিংস্র।
সে খুবলে খায় স্বজাতির মাংস,
ক্ষিদার তাড়নায় নয়,নিছক মৃত্যুর স্বাদ পেতে।
সে প্রাণী শব্দ গুচ্ছের নতুন অর্থ তৈরি করে ,
সে তার প্রাণ সঁপেছে ধর্মের জিম্মায়-
ধর্ম তারে গড়ে নিয়েছে নিজের আবর্তে
মানুষ তাই ধর্মের মতই এক সর্বগ্রাসী শক্তি
যার কোনো চালক নেই।

Comments